আবহমান বাংলার নারীর প্রতিচ্ছবি। আর সেই শাড়ি যদি হয় জামদানি, তা’হলে তো কোন কথা-ই নেই।
বয়নশিল্পে বাংলা তথা এই ব-দ্বীপ অঞ্চলের রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য। ব-দ্বীপ অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তর ঢাকা প্রাচীনকাল থেকে মসলিনের উৎপাদন ও বাণিজ্যের জন্য অন্যতম জায়গা ছিল। অনুমান করা হয় যে মসলিনের মধ্যে ৩৬টি ভিন্ন ভিন্ন পণ্য রয়েছে। জামদানি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম।
ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
আসল জামদানি শাড়ি তাঁতিরা হাতে বুনন করেন বলে এগুলো তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। তাই এগুলোর দামও অন্যান্য শাড়ির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
একটি জামদানি শাড়ি তৈরি করতে দুইজন কারিগর যদি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা শ্রম দেন, তাহলে ডিজাইন ভেদে পুরো শাড়ি তৈরি হতে সাত দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
সাধারণত শাড়ি তৈরির সময়, সূতার মান ও কাজের সূক্ষ্মতা বিবেচনায় একটি জামদানির দাম ৩,০০০ টাকা থেকে এক লাখ টাকা কিংবা তারচেয়েও বেশি হতে পারে।
কিন্তু মেশিনে বোনা শাড়িতে তেমন সময় বা শ্রম দিতে হয় না। এজন্য দামও তুলনামূলক অনেক কম।
জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হওয়ায়, শাড়ির ডিজাইন হয় খুব সূক্ষ্ম এবং নিখুঁত। ডিজাইনগুলো হয় মসৃণ।
জামদানি শাড়ী কেনার আগে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে-
সূতার মান
কাজের সূক্ষ্মতা।
শাড়ির দাম
শাড়ি হোক বাঙালী নারীর প্রাচীন ও আধুনিকতাব সেতুবন্ধন, গৌরবে বেঁচে থাকুক হাজার বছর।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জামদানী শাড়ি

05
Jul